এই কবিতাটি আমি বছর দুয়েক আগে আমার ভাতৃপ্রতিম বন্ধু আশীস বরণ অধিকারীর অনুরোধে লিখেছিলাম, ওকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি! জটিল জীবনের নাগপাশ থেকে অনেক সময় হারিয়ে যেতে হয়, টুকরো স্মৃতির রোমন্থন করতে হয়!!
মায়াহীন মরু প্রান্তর
কলমে: বারিদ বরন গুপ্ত
( মন্তেশ্বর পূর্ব বর্ধমান)
পৃথিবীর মানুষগুলো কেমন যেন হলো,
চারিদিকে দেখি সন্দেহ আর অবিশ্বাস;
সমাজ সংসার আজ চলেছে ছন্দহীন পথে,
ধরেছে চিতার ক্ষিপ্রগতি,
বন মরু প্রান্তর তবুও নিরন্তর
হয়তো গড়বে নতুন পৃথিবী,
কায়াহীন মায়াহীন দমবাধা এক যন্ত্রপুরী।
এত ইমারত ! এত নগর জনপদ !
দাঁড়িয়ে রয়েছে যত দম্ভ ও অহংকার,
শুষেছে রক্ত ঘাম হাজার হাজার,।
আমাকেও ডাকে নীল ইশারায়।
ভাল্লাগেনা! তবুও ভালোবাসি,
নিজের কাছে হাজারো প্রশ্ন রাখি
মুখে রাখি ধার করা শুকনো হাসি!
রুশোর দর্শন আজ আমায় কাঁদায়,
জঙ্গলের পরিবেশে ছিলেম ভালো
ন্যায় নীতি মূল্যবোধ সবই জেগেছিল,
হঠাৎ যত যন্ত্র এলো
মন গুলো উড়িয়ে দিল,
মৃত্যুপুরীর এক জমাট আঁধার।
বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধা! মূল্যবোধ সব গিলে গিলে খেলো।
পৃথিবীর মানুষগুলো কেমন যেন হলো,
মান হুশ সবই খোয়ালো,
আর ভাল্লাগেনা বাঁচতে ,
এই নিরস পৃথিবীর বুকে
যন্ত্র দানবীর ঘূর্ণিপাকে।
‘দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর’
ফিরে চলো জঙ্গলের জীবনে
আরেকবার হাঁফ ছেড়ে বেঁচে আসি
চির স্বর্গ সুখের প্রাণ কোলে
রুশো একদিন তাইতো বুঝেছিলো।।
Barid Baran Gupta