Skip to content

Article

শিল্প সংস্কৃতির বিকৃত মানসিকতা,
“””'”””””'””””””””””'”‘””””””””””””””””””””””””
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””‘”””
কলমে:বারিদ বরন গুপ্ত।
(মন্তেশ্বর পূর্ব বর্ধমান)

শিল্প-সংস্কৃতির প্রাঙ্গনে এখনো রুচিবোধসম্পন্ন মানুষের অভাবের চিত্র দিকে দিকে পরিস্ফুটিত হচ্ছে, যার ফলে
শিল্প ও সাহিত্য চর্চা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। দুঃখের বিষয় আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এখনও পর্যন্ত তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় আছি, রুচিবোধসম্পন্ন পাঠক সমাজ তৈরি করতে পারেনি, সমাজ বর্তমানে অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে বিচার হচ্ছে, ফলে শিল্প-সাহিত্যের দিকগুলো উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। সমাজ এখনও বিকৃত রুচি বোধ সম্পন্ন মানুষের হাতে, তাদের মানসিকতায় বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে শিল্প-সাহিত্যের বিকাশ। মধ্যযুগে যাকে আমরা অন্ধকারময় যুগ বলে অভিহিত করে থাকি তখন স্বাধীন শিল্প সাহিত্য চর্চা বাধা প্রাপ্ত হয়েছিল, শাসক কুল নিজেদের মতো করে নিজেদের চিন্তা ভাবনায় এসবের বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা্ করেছিল। ফলে শিল্প-সাহিত্যের প্রকৃত সৌন্দর্য হারিয়ে গেছিল। প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে উদার ,কুসংস্কার মুক্ত, মানবিক চিন্তা চেতনার উন্মেষ ঘটাতে সাহায্য করে, ফলে শিল্প-সৌন্দর্য দিকগুলি বিকশিত হয়, যতদিন না সমাজে প্রকৃত শিক্ষার আলো পৌঁছাবে, ততদিন পর্যন্ত শিল্প-সাহিত্য সৌন্দর্য হারাবে, বাধাপ্রাপ্ত হবে শিল্প সাহিত্যের উপাদান সংগ্রহ বা সৃষ্টিতে।প্রকৃত শিল্প-সাহিত্য অনুরাগী পাঠক সমাজ তৈরি করা শিল্প সাহিত্যিকদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, এর ফলে সমাজ পরিপুষ্ট হয়, এই দায়ভার আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না,যদিও বর্তমান সমাজে বিকৃত রুচি বোধ সম্পন্ন মানুষের দাপাদাপি বাড়ছে, তবুও শিল্পী-সাহিত্যিকদের নির্ভীকভাবে এগিয়ে যেতে হবে সাহিত্যের উপাদান সংগ্রহে বা সৃষ্টিতে।

Barid Baran Gupta

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *